একটা,
দুইটা নয়, একেবারে ১১
জনকে বিয়ে করে
তাদের অর্থ সম্পদ
ও গহনা হাতিয়ে
নিযে কেটে পড়তো
২৩ বছরের সুন্দরী তরুণী
মেঘা।
বেশ কয়েকটি অভিযোগ
পাওয়ার পর এইতাকে
ধরতে জাল পাতে
পুলিশ।
কিন্তু তিনি এতটাই
ধুরন্দর যে পুলিশ
অফিসারদেরও নাকানি চোবানি
খেতে হয়েছে তার
কাছে।
ভারতের
উত্তর প্রদেশের নয়ডার
বাসিন্দা মেঘনা ভার্গব। থাকেন
বোন আর তার
জামাইয়ের সঙ্গে। সেখান
থেকে পাড়ি দেয়
কেরালায়। শিকারের খোঁজে
নেমে পড়েন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, তাকে
এই কাজে সাহায্য করত
মহেন্দ্র নামে এক
যুবক। তিনি খুঁজে
খুঁজে সেই পুরুষের খবর
দিতেন মেঘনাকে যাদের
বয়স হয়ে গেছে,
অথচ বিয়ে হয়নি,
ডিভোর্সি পাত্র। আবার
যাদের গায়ের রং
কালো, ভাল পাত্রী
পাচ্ছেন না। এমনকী
শারীরিক ভাবে অক্ষম
পুরুষদের কাছে নিজের
রূপের ললনায় মন
ভুলিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন।
তবে খেয়াল রাখতেন
এরা সবাই বিত্তবান কিনা!
সেই বুঝেই সে
দিকে পা বাড়াত
মেঘনা।
প্রথমে
তাদের সঙ্গে আলাপ,
তারপর বিয়ের প্রস্তাব। বিয়ে
করার পরই সুযোগ
খুঁজতো গহনা কীভাবে
হাতানো যায়। ঝোপ
বুঝে কোপ, তারপরই
উড়াল দিত পাখি।
মেঘনার রূপের জাল
বিস্তার ছিল নয়ডা
থেকে কেরালা পর্যন্ত। এক
এক করে ১১
জনকে তার রূপের
ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে
নেন লাখ লাখ
টাকা আর গহনা।
এ
রকমই কেরালার এক
ব্যক্তি লরেন জাস্টিনকে ফাঁদে
ফেলে মেঘনা। বিয়ের
কয়েক দিনের মধ্যে
১৫ লক্ষ রুপির
গহনা নিয়ে উধাও
হয়ে যান তিনি।
জাস্টিন পুলিশে অভিযোগ
দায়ের করেন। কেরালায় এ
রকম বেশ কয়েকটি
অভিযোগ আগেই পুলিশের কাছে
জমা পড়েছিল। কিন্তু
নাগালে পাচ্ছিল না
অপরাধীকে। খোঁজ নিয়ে
পুলিশ জানতে পারে
নয়ডাতেও এ রকম
কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
আর প্রতিটি ঘটনার
সঙ্গে মিল রয়েছে।
কেরালা পুলিশ নয়ডা
পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
শুরু হয় যৌথ
তল্লাশি। তল্লাশি অভিযানে নেমে
পুলিশের হাতে মহেন্দ্র নামে
এক যুবকের নাম।
তার খোঁজ নিয়ে
গতিবিধির উপর নজর
রাখতে শুরু করে
পুলিশ। সুযোগ বুঝে
তাকে ফাঁদে ফেলে
গ্রেফতার করা হয়।
মেঘনার ডান হাত
গ্রেফতার হতেই আসল
গল্প বেরিয়ে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায়
মহেন্দ্র তাদের জানায়
সেই নাকি মেঘনার
জন্য বিত্তবান অসহায়
পুরুষদের খুঁজে দিতেন।
বিয়ের পর মেঘনা
পানীয়ের সঙ্গে মাদক
মিশিয়ে তার ‘স্বামী’দের খাওয়াত। তারপরই
সব কিছু হাতিয়ে
পগারপার।
এই মহেন্দ্রকেই জেরা করে মেঘনার খোঁজ পায় পুলিশ। তার নয়ডার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে মেঘনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তার বোন-জামাইকেও। জেরায় মেঘনা জানিয়েছে, তিনি চার জনকে বিয়ে করেছেন। তবে বাকি বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। তার দাবি, কাউকে প্রতারিত করেননি তিনি বিয়ের পরই ‘স্বামী’দের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তাদের ছেড়ে চলে আসেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
No comments:
Post a Comment