Friday, December 23, 2016

নায়িকা পূণিমার জীবনগল্প | Actress Purnima's Biography


নায়িকা পূণিমার  জীবনগল্প | Actress Purnima's Biography:




পূর্ণিমা : জন্ম: ১১ জুলাই, ১৯৮১ | একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত জীবন তোমার আমার ছবির মাধ্যমে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ২০১০ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন পূর্ণিমা অভিনীত বাম্পার হিট চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে মতিউর রহমান পানু পরিচালিত মনের মাঝে তুমি এস হক অলিক পরিচালিত হৃদয়ের কথা তার অভিনীত একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র হচ্ছে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত মেঘের পরে মেঘ
পূর্ণিমা ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায় তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ ডাক নাম রিতা

২০০৭ সালের নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি প্রথম কন্যা সন্তানের মা হন তার মেয়ের নাম আরশিয়া উমাইজা

পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে আগমন জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত জীবন তোমার আমার দিয়ে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে, তখন তিনি ক্লাস নাইনে পড়তেন ২০০৩ সালে মুক্তি পায় তার সব থেকে সফল ছবি মতিউর রহমান পানু পরিচালিত মনের মাঝে তুমি এটি বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় বাংলাদেশের সবথেকে সফল ছবির মধ্যে অন্যতম২০০৪ সালে রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস মেঘের পরে মেঘ অবলম্বনে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছায়াছবি মেঘের পরে মেঘ ছবিতে অভিনয় করেন এছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের গল্প রাক্ষুসী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র রাক্ষুসীতেও অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ২০০৫ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাস্তি গল্প অবলম্বনে নির্মিত শাস্তি চলচ্চিত্র চন্দরা চরিত্রে অভিনয় করেন
২০০৬ সালে বিশ্বকবির শুভাসিনী গল্প অবলম্বনে নির্মিত সুভা চলচ্চিত্রে তিনি একটি বোবা চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর তার অন্যতম বাণিজ্যিক সফল ছায়াছবি হৃদয়ের কথা মুক্তি পায় এবং এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী (নারী) বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তার অভিনীত আরেকটি বানিজ্যিক সফল ছায়াছবি আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এর তারকা জরিপ সমালোচক শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী (নারী) বিভাগে মনোনীত হন। ২০০৯ সালে ওয়াকিল আহমেদ পরিচালিত কে আমি, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত মায়ের চোখ স্বামী নাম্বার ওয়ান এবং এফ আই মানিক পরিচালিত আমার স্বপ্ন আমার সংসার ছায়াছবিতে অভিনয় করেন এছাড়া বছর তিনি শুভ বিবাহ চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ওরা আমকে ভালো হতে দিলো না ছায়াছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর পরাণ যায় জ্বলিয়া রে ছায়াছবির জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এর তারকা জরিপ শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী (নারী) বিভাগে মনোনীত হন

ফেসবুকে গত নভেম্বর, ২০১৫ নিজের লেখা একটা কবিতা পোস্ট করেছেন ঢাকাই ছবির অভিনেত্রী পূর্ণিমা কবিতাটির প্রথম কয়েকটি লাইন ছিল

“অনিয়ম আমাদের নিয়ম, দুর্নীতি আমাদের নীতি দুঃখ ঢাকি বিলাসিতায়, সুখ কেবলই স্মৃতি

কবিতাটি পড়ে অনেকেই তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। কেউ কেউ তাঁকে নিয়মিত লেখার অনুরোধও করেছেন। বেশ কয়েক মাস ধরেই শুটিং থেকে দূরে আছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা দেড় বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে আরশিয়াকে নিয়েই তাঁর যত ব্যস্ততা এখন। কাজের জন্য যতটা সময় দরকার তা এখনো বের করতে পারছেন না তিনি। মেয়ের দেখভাল করার পর যে সময়টুকু মেলে তখন টুকটাক লেখালেখির মধ্যেই থাকার চেষ্টা করেন। সময়টাতে মনে যাই আসুক না কেন, তাইই লিখে রাখছেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন,
অনেক দিন ধরেই ছবিতে কাজ করছি না। আরশিয়াকে দেখার পর হাতে সময় থাকে। নানা কিছু পড়ি আর যখন যা মনে আসে তা টুকটাক লিখে রাখি।ফেসবুকে হঠাৎ করেই কবিতাটি পোস্ট করেছিলাম। সবাই খুব প্রশংসা করেছে
ইদানীং গল্পও লিখছেন পূর্ণিমা। সামনে এগুলো নিয়ে কেউ যদি নাটক তৈরির জন্য আগ্রহী হন, তাতে খুশি হবেন পূর্ণিমা


No comments:

Post a Comment