Monday, January 2, 2017

পিঁয়াজের অজানা দশটি ব্যবহার | Ten Uses of Onion that You Don't Know



ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে:
পিঁয়াজ ভাল করে বেঁটে পেষ্ট করে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে একটি মোটা কাপড় দিয়ে ভাঙ্গা জায়গা ভালভাবে বেঁধে রাখুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ভাঙ্গা জায়গাটি না নড়াচড়া করে। আপনার ভাঙ্গা হাড় দ্রুত জোড়া লাগবে।

মাথার যন্ত্রনা দূর:
মাথায় যন্ত্রনা দূর করার এক মহাঔষধ পিঁয়াজের রস। প্রথমে পিঁয়াজকে চাক চাক করে কাটুন। তারপর কপালের যে স্থানে বেশী যন্ত্রনা করছে, সেখানে ভালভাবে লাগান। মাথার যন্ত্রনা খুব তাড়াতাড়ি বিদায় নেবে।

কাটা স্থানের রক্ত বন্ধ করতে:
শরীরের কোন স্থানে কেটে প্রচুর রক্ত পড়লে, তাৎক্ষণিক রক্ত বন্ধ করতে পিঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। এটি এন্টিবায়োটিক হিসাবেও কাজ করে।

কাঁশি সারাতে:
একটি বড় আকারের পিঁয়াজকে সমান দুই ভাগে ভাগ করুন। এবার এক টুকরা পিঁয়াজ নিয়ে এক টেবিল চামচ চিনি এর মধ্যে এক ঘন্টা রাখুন। এভাবে দিনে দুইবার করে সেবন করুন। অচিরিরেই আপনার কাঁশি নির্মূল হবে।

বাতাস বিশুদ্ধকরন:
আপনার ঘরকে ব্যক্টেরিয়া ও ভাইরাস মুক্ত করতে পারেন খুব সহজে। এজন্য আপনাকে পিঁয়াজটিকে কয়েক টুকরা করে ঘরের মাঝখানে রেখে দিন। এক ঘন্টার মধ্যে আপনার ঘর ব্যক্টেরিয়া ও ভাইরাস মুক্ত  হবে।


যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি করে:‌ মানুষের যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি করে পেঁয়াজ। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ পেঁয়াজ ও এক চামচ আদার রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। দিনে তিনবার। আপনার যৌন ইচ্ছা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা রোধ:‌ অ্যানিমিয়া রোধে পেঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন পেঁয়াজ খান, গুঁড় ও পানি সহযোগে। এর ফলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শরীরে নতুন রক্ত তৈরিতে আয়রনের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না।

ক্যান্সার রোধ:‌ প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে ক্যান্সার রোধ করা সম্ভব। ক্যান্সার কোষগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যা রোধে প্রতিদিন পেঁয়াজ খান। দেখবেন শরীরে একটা ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ তৈরি হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:‌ পেঁয়াজে ক্রোমিয়াম থাকে। যা ব্ল্যাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে।

রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ:‌ নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক থাকে। যার ফলে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

দাঁতের সংক্রমণ রোধ:‌ দাঁতের সংক্রমণ রোধ করতেও পেঁয়াজের জুরি মেলা ভার। ২–৩ মিনিট পেঁয়াজ চিবিয়ে খান। ফলে দাঁতে লুকিয়ে থাকা জীবাণুগুলো মরে যাবে এবং সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমবে।

No comments:

Post a Comment