Friday, January 13, 2017

J-তেল R-ক্যাপসুল নয়, যৌবন ফেরাবে



মধ্যবয়সে যৌন দুর্বলতায় হতাশ হওয়ার দিন এবার শেষ। টেস্টোস্টেরন-এর মাত্রা বাড়িয়ে হারিয়ে যাওয়া পৌরুষ পুনরুদ্ধারের হদিশ পেলেন চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা।
সম্পূর্ণ আয়ুর্বেদিক এই চিকিত্‍সায় নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা। তবে বাংলাদেশে আজকাল আয়ুর্বেদিকের নাম করে নানা প্রকার ভেজাল ঔষধ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়ে থাকে।
তাই পাঠকদের সতর্কতার জন্য বলছি… আয়ুর্বেদিক ট্রিটমেন্ট নিতে চাইলে দেশের নামকরা আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রিটমেন্ট নিবেন, সেখানে রয়েছে অনেক সুশিক্ষিত কবিরাজ।
অনলাইন, ফেইসবুক বা রাস্তাঘাটের বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ হয়েই নিজে নিজে ঔষধ কিনে খাওয়া শুরু করবেন না। কারণ পরিনামে অনকে ভুগতে হবে। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সাকে এ ক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে অগ্রাধিকার দিতে পারেন।
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত পুরুষের বয়সজনিত যৌন দুর্বলতার সঠিক সমাধান সম্পর্কে মোটামুটি অন্ধকারেই ছিলেন চিকিত্‍সকরা।
ভায়াগ্রা আবিষ্কার হলেও তার প্রয়োগ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক আজও শেষ হয়নি। অবশেষে সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদান থেকে তৈরি হল মধ্যবয়সী পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির মহৌষধ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে কিছু কিছু উপাদান তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দেহে ক্রমে জরা বাসা বাঁধে।
তবে কোনও ভাবে যদি প্রয়োজনীয় সেই সমস্ত উপাদান ফের উত্‍পাদন করা সম্ভব হয়, তা হলে তাত্ত্বিক ভাবে তারুণ্যের প্রত্যাবর্তন ঘটবে। এই সমস্ত উপাদানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হরমোন টেস্টোস্টেরোন।
সম্প্রতি বাজারে নতুন টেস্টোস্টেরোন বুস্টার এনেছে বহুজাতিক সংস্থা জিএনসি। ওষুধটির নাম Test X180। আবির্ভাবেই বাজার মাত করেছে এই ওষুধ।
বস্তুত গত কয়েক মাসের বিক্রির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংস্থার সবক’টি পণ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই বুস্টার।
চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কুড়ির কোঠার শেষ ভাগে পৌঁছে পুরুষের শরীরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে টেস্টোস্টেরন সৃষ্টি হয়।
তার পর থেকেই স্বাভাবিক ভাবে এই হরমোন নিঃসরণের হার কমতে থাকে। ক্রমে মধ্যবয়সে পৌঁছে তা নগণ্য হয়ে পড়ে। এর ফলে যৌনতায় ধীরে ধীরে অক্ষম হয়ে পড়ে পুরুষ।
কোনও ঝুঁকি ছাড়া মানবদেহে টেস্টোস্টেরন তৈরির হার বাড়াতে কেমব্রিজ ও ম্যাসাচুসেট্‌স-এর পরীক্ষাগারে গত কয়েক বছর ধরে নিরন্তর গবেষণা চালানো হয়। সেই অধ্যবসায়ের ফল মিলেছে অবশেষে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ওষুধের মূল উপাদান বিরল প্রজাতির মেথি বীজ থেকে উত্‍পন্ন নির্যাস, যা শরীরে ফের টেস্টোস্টেরন উত্‍পাদন করতে সক্ষম।
সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, বিরল এই মেথি বীজ অত্যন্ত কম পরিমাণে সংগ্রহ হওয়ার কারণে চাহিদার তুলনায় ওষুধ উত্‍পাদন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
তাঁদের মতে, ওই প্রজাতির মেথি চাষ করলে তার গুণাগুণ হ্রাস পায় বলে ফলন বাড়ানোও অসম্ভব। আপাতত তাই বেশি পরিমানে বীজ উত্‍পাদনের উপরই জোর দিচ্ছে উত্‍পাদক সংস্থা।
তবে যেকোন বয়সে যে কোনো প্রকার যৌন দুর্বলতা নির্মূলে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা অব্যর্থ এবং দারুন কার্যকর। কিন্তু উপযুক্ত প্রচার এবং প্রসারের অভাবে অনেকেই বিষয়টি জানেন না।

জেনে রাখা ভালো, অ্যালোপ্যাথি, হারবালের চেয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা অনেক ক্ষেত্রেই অধিক সুফলদায়ক কারণ হোমিওতে ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রকার চিন্তাই করতে হয় না।

No comments:

Post a Comment