বাজার থেকে কিনে না-হয় আনা গেল! তার পর? বাড়িতে আনার পরে ডিমগুলো কোথায় রাখলে সব থেকে ভাল হয়? রেফ্রিজারেটরের ভিতরে, না বাইরে?
তাকানো যাক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে। খবর বলছে, বেশি দিন বাইরে ফেলে রাখলে স্যালমোনেলা নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে ডিমের অভ্যন্তরে।
তাই এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ডিম রেফ্রিজারেটরে রাখাই উচিত হবে। কেন না, রেফ্রিজারেটরের হিমশীতল পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া টিকতে পারবে না।
কিন্তু এই সাবধানতা শুধুমাত্র খামারের দেশি ডিমের জন্য। কেন না, মোরগের শুক্রাণু নিষিক্ত হয়ে যখন মুরগির শরীরের অভ্যন্তরে ডিমের জন্ম দেয়, সেই সময় থেকেই শুরু হয় এই স্যালমোনেলা নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। ফলে দেশি ডিম কিনে আনলে তা সঙ্গে সঙ্গে রেফ্রিজারেটরে ঢুকিয়ে রাখাই উচিত হবে।
অন্য দিকে, পোলট্ট্রির ডিমের ক্ষেত্রে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। কেন না, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এখানে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মুরগির নিষেক ঘটানো হয়। এখানে মোরগের কোনো ভূমিকা থাকে না। ফলে, স্যালমোনেলা সংক্রমণের আশঙ্কাও নেই!
তাহলে কি ধরে নিতে হবে, দেশি ডিম রেফ্রিজারেটরে রাখা উচিত এবং পোলট্রির ডিম বাইরে? এতটাও সহজ নয় সিদ্ধান্তে আসা! কেন, তার খেই ধরিয়ে দিচ্ছেন ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ মেহতা।
তিনি বলছেন, পোলট্রির ডিম শীতকালে ৭-১০ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরের বাইরে রাখাই যায়! গরমকালে সেই মেয়াদটা এসে ঠেকে ৩-৪ দিনে। এর পরে সময় পেরিয়ে গেলেই ডিম খারাপ হতে শুরু করে!
এবার সিদ্ধান্ত আপনার! ডিম রেফ্রিজারেটরে রাখবেন, না কি রাখবেন না! এও ভাবতে পারেন, দিনের দিন কিনে আনাই উচিত হবে! মর্জি আপনার!
No comments:
Post a Comment