ভারতের
দিল্লির মেয়ে ইয়াসমিন মানকের
শরীরের দিকে তাকালে
মনে হয়, যেন
লোহা দিয়ে গড়া
হয়েছে তার দেহটি। নির্মেদ পেশির
খাঁজে খাঁজে কঠিনতা। কিন্তু
তার মুখে সেই
কাঠিন্যের লেশমাত্র নেই।
কয়েকদিন আগে
মিস এশিয়া বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় তিনি
জিতেছেন ব্রোঞ্জ পদক।
তার কয়েকমাস আগে
তিনি হয়েছিলেন মিস
ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়ান বডিবিল্ডিং ফেডারেশন আয়োজিত
এই মিস ইন্ডিয়া অবশ্য
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়,
বডিবিল্ডিং খেতাব।
ইয়াসমিন তার লৌহকঠিন শারীরিক গড়নের জোরে দেশের মুখোজ্জ্বল করছেন। কিন্তু মজার বিষয়, এই ইয়াসমিনই একসময় তার পাড়ায় রোগাসোগা চেহারার জন্য 'কুৎসিত কন্যা' তকমা পেয়েছিলেন।
ইয়াসমিন তার লৌহকঠিন শারীরিক গড়নের জোরে দেশের মুখোজ্জ্বল করছেন। কিন্তু মজার বিষয়, এই ইয়াসমিনই একসময় তার পাড়ায় রোগাসোগা চেহারার জন্য 'কুৎসিত কন্যা' তকমা পেয়েছিলেন।
৩৬
বছর বয়সি ইয়াসমিনের জীবনে
ঘটেছিল একটি দুর্ঘটনা। ভুল
চিকিৎসার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
ওষুধের ভুল ডোজের
প্রভাবে একেবারে অস্থিচর্মসার চেহারা
হয়েছিল তার। এমনকি
মুখ থেকেও ঝরে
গিয়েছিল সমস্ত মেদ
ও মাংস। বন্ধুবান্ধব ও
পাড়াপ্রতিবেশীরা
হাসাহাসি শুরু করেছিল
ইয়াসমিনের এই চেহারা
নিয়ে। লজ্জিত ইয়াসমিন মনে
মনে স্থির করেন,
কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বদলে
নেবেন নিজের ভাগ্য।
হারানো
স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে জিমে
যাওয়া শুরু করেন
ইয়াসমিন। প্রথম দিকটায়
একেবারেই নিয়মমাফিক যাচ্ছিলেন। কিন্তু
কয়েকদিন জিমে শরীরচর্চার পরেই
বডিবিল্ডিং-এর প্রতি
আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
শরীরচর্চায় যেন নেশা
ধরে যায় তার।
বছর খানেকের মধ্যেই
ভারতের নারীদের মধ্যে সবচেয়ে
সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারিনী হয়ে
ওঠেন তিনি। বডিবিল্ডিংএ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন খেতাব
চলে আসে তার
ঝুলিতে। আজ শুধু
ভারত নয়, সারা
পৃথিবীরই অন্যতম সেরা
মহিলা বডিবিল্ডার হিসেবে
ইয়াসমিন পরিচিত।
No comments:
Post a Comment