সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মানব
শরীরে এমন একটি
অঙ্গের সন্ধান পেয়েছেন, যার
অস্তিত্ব এতো দিন
ছিল অজানা। এই নতুন
অঙ্গটির নাম দেওয়া
হয়েছে 'মেসেন্টারি'।
যদিও লিওনার্দো দা
ভিঞ্চি ১৫০৮ সালে
তার লেখায় এই
অঙ্গের উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু এত
দিন বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। শরীরবিজ্ঞানীদের ধারণা
ছিল, মানুষের শরীরে
বিশেষ বিশেষ অবস্থায় গড়ে
ওঠে এই অঙ্গটি। কিন্তু
এটি যে মানবদেহের একটি
স্থায়ী অঙ্গ এবং
সকলের দেহেই যে
অঙ্গের অস্তিত্ব রয়েছে,
তা এতোদিন জানা
ছিল না। তলপেটে অন্ত্র
এবং পেটের অভ্যন্তরের স্তরের
মধ্যবর্তী জায়গায় এর
অবস্থান। পেরিটোনিয়াম দু'ভাঁজে ভাঁজ
হয়ে এই অঙ্গটি
গড়ে তোলে।
আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল লিমেরিক'র
ডাক্তার জে কেভিন
কফি এই নতুন
আবিষ্কারটির মূলে রয়েছেন। তিনি
জানাচ্ছেন, এই অঙ্গের
কাজ কী, তা
এখনো অজানা। সেই
নিয়ে গবেষণা চলছে।
কিন্তু তাতে এই
অঙ্গটির স্বতন্ত্র অস্তিত্ব খর্ব
হয় না। তিনি
জানান, ‘শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের
যেমন আলাদা আলাদা
রোগ হয়, এবং
চিকিৎসাবিজ্ঞানে
তার আলাদা আলাদা
নাম দেওয়া হয়,
তেমনই এই নতুন
অঙ্গটিকে কেন্দ্র করে
গড়ে ওঠা রোগগুলিকেও আলাদা
নামে চিহ্নিত করা
হবে। এর কাজ
কী, সেটা যখনই
আমরা জানতে পারব,
তখনই এর অস্বাভাবিক আচরণগুলিকেও আলাদা
করে চেনা যাবে।
ফলে চিহ্নিত করা
যাবে এই অঙ্গঘটিত রোগগুলিকেও। তার
নিজস্ব চিকিৎসাও খুঁজে
বের করতে হবে।
সব মিলিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে একেবারে নতুন
শাখাই উন্মোচিত হয়ে
যাবে। ’
নিজেদের গবেষণার কথা
কফি এবং তাঁর
সহযোগীরা প্রকাশ করেছেন
‘দা ল্যান্সেট’ নামের
মেডিক্যাল জার্নালে। এরপর
পৃথিবীর সব চেয়ে
বিখ্যাত মেডিক্যাল টেকস্ট
বুক ‘গ্রেজ অ্যানাটমি’-তেও
এই অঙ্গের নাম
সংযোজিত হয়েছে। মেসেন্টারিসহ এখন
মানবদেহে মোট অঙ্গের
সংখ্যা দাঁড়াল ৭৯।
সূত্র: এবেলা।
No comments:
Post a Comment