Tuesday, January 10, 2017

যেখানে পয়সা দিয়ে মেয়েদের মার খান ছেলেরা!


মানুষের কতরকম শখই না থাকে সেই শখ মেটাতে যে কোন মূল্য দিতে প্রস্তুত থাকেন তাঁরা এমনকীপ্রাণ যদি যায়, তাতেও পরোয়া নেই আমরা পর্বতারোহীদের কথা জানি শুধুমাত্র নেশা পূরণ করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন কতজন তার হিসেব নেই কিন্তু তাই বলে ইচ্ছে করে মার খাওয়া কারোর শখ হতে পারে? অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন ঘটনাই দেখা গেছে আর বিশ্বের কোন প্রত্যন্ত জায়গায় নয়, খোদ লন্ডনের মতো শহরে ঘটে চলেছে এই কাণ্ড অর্থের বিনিময়ে নিজের উপরে অত্যাচার করাতে এখানে পাড়ি দেন ছেলেরা

উত্তর লন্ডনেরদ্য সাবমিশন রুমনামে একটি জিম জনপ্রিয় হয়ে গেছে গোটা বিশ্বে স্যোশাল মিডিয়াতেও বহুজায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই জিমের ছবি। জিমের মালিকানা দায়িত্বে রয়েছেন একজন বিখ্যাত মহিলা কুস্তিগীর। অবশ্য প্রধান দায়িত্বে তিনি থাকলেও তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য আরও কয়েকজন কুস্তিগির রয়েছেন এখানে।  

সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর ব্যবসা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে আগের তুলনায় এবং ভালোই চলছে এখন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, ব্যবসাটা কীসের? শুধুমাত্র জিম? না, তা নয়। জিম ছাড়াও আরও একটি কারণে জনপ্রিয় এই জায়গা। এখানে টাকা খরচ করে নিজেদের উপরে শারীরিক অত্যাচার করাতে আসেন পুরুষরা। আর কিছু সুস্বাস্থ্যের অধিকারি মহিলা কুস্তিগির সর্বক্ষণ তাঁদের গ্রাহককে মারার জন্য প্রস্তুত থাকেন। ওটাই প্রধান পরিষেবা জিমের। এর জন্য গ্রাহকদের ১৫০ পাউন্ড দিতে হয়।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। জিমের মালিক জানিয়েছেন, ‘প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন আমাদের এখানে আসেন। আমাদের স্বাস্থ্যবতী মহিলা কুস্তিগিরদের শরীরের স্পর্শ পাওয়াই তাঁদের অন্যতম উদ্দেশ্য থাকে। কুস্তিটা শুধু মাত্র নামেই। তবুও যদি তাঁরা কুস্তির উপর জোর দিতে বলে, আমরা দিই। অনেকে আবার বেয়াড়া আবদারও করে অনেক সময়ে। এই ধরুন বলল, আজকে স্কিন ফিট জামা পড়ে লড়তে হবে তাঁদের সঙ্গে। আমরা যতটা সম্ভব আবদার রাখার চেষ্টা করি


আসলে যৌন আকাঙ্খা পূরণ করতেই এই জিমে আসেন পুরুষরা। জিমের কর্ণধার জানিয়েছেন, ১৯ থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধও রয়েছেন তাঁদের গ্রাহক তালিকায়। তাঁর বক্তব্যে, ‘কারো কারো জন্য এটা স্বাস্থ্য ভাল রাখার উপায়, কেউ কেউ আবার এর মধ্যে দিয়ে যৌন আসক্তিও মিটিয়ে নেন এখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে। তবে আমি কুস্তি ভালবাসি। তাই আমার জন্য এটা নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তোলার একটা রাস্তা।

No comments:

Post a Comment