Saturday, December 24, 2016

এরিয়া ৫১ - পৃথিবীর যেখানে এলিয়েনদের যাতায়াত !




আমি রহস্যপ্রিয় হওয়ায় পৃথিবীর রহস্যময় বিতর্কিত স্থান নিয়ে রয়েছে আমার কৌতুহলপৃথিবীর সেরা রহস্যময় স্থানগুলো নিয়ে লেখাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চিন্তা আছে আমার আজকে আলোচনা করব আমেরিকার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সামরিকঘাটি এরিয়া৫১ নিয়ে বিতর্কিত স্থাপনাটি সম্পর্কে কমবেশী সবাই মনে হয় জানেন স্থাপনাটি লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিমি দুরে "গ্রুম" লেকের পাশে অবস্থিত দুর্ভেদ্য বেষ্টনীতে ঘেরা ঘাটির প্রবেশপথে লেখা আছে অনধিকার প্রবেশকারীকে গুলি করা হতে পারে আজপর্যন্ত বেসামরিক কেউ দাবী করেনি তিনি এরিয়া৫১ ঢুকেছেন যদি কেউ ঢুকেও থাকেন তাহলে তিনি জীবিত আর বের হতে পারেন নি তা নিশ্চিততবে স্থাপনাটিকে বিতর্কিত রহস্যময় করে তোলার পিছনে আশপাশের বাসিন্দারাই দায়ীতাদের অনেকের দাবী এরিয়া৫১ এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মত মত কিছু উড়তে তারা দেখেছেনআবার অনেকেই নাকি এমন দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন যার গতি সাধারন বিমান বা যুদ্ধবিমান কোনোটার সাথেই মিলে নাতবে এসব বিতর্কের আগুনে ঘি ডেলেছেন এরিয়া৫১ কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী বব লেজার এক টিভি সাক্ষাৎকারে তার দাবী ওখানে এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিযে গবেষনা করা হয় যা এখনও আবিষ্কারের ঘোষনা দেওয়া হয় নিতিনি অবশ্য কিছু ধোয়াটে বক্তব্য দিয়েছেন একটি মৌলিক পদার্থ নিয়েতারমতে সুপারনোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকেই সম্ভবত একটি মৌল সংগ্রহ করা হয়েছেযার মাত্র . পাউন্ড ৪৭টি ১০মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্য যথেষ্টওখানে নাকি একটি সরল যন্ত্র আছে যা চাকতি আর বল দিয়ে তৈরীযন্ত্রের বলের চিপে মৌলটি রাখা হলে সময়কে স্থির করে রাখতে পারেতারা নাকি সময় স্থির করে রাখার পরীক্ষা চালিয়ে সফলও হয়েছেন তার মতে মৌলপদার্থটি বলের চিপে রাখামাত্র তা কোনএকভাবে অ্যান্টিম্যাটার তৈরী করে এবং তারফলে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়অ্যার্টিম্যাটার রিয়েক্টরে শক্তি উৎপাদনের ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বলের সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তিতে তা বিদুৎবেগে ছুটতে পারেএবং এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাকি ওখানে ফ্লাইং সসার তৈরীর গবেষনা চলছে তবে বব সবচেয়ে বড় বোমা ফাটান এই বলে সেখানে নাকি এলিয়েন দের নিযে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক ফ্লাইং সসার আছেওখানে এলিয়েনটির ব্যবচ্ছেদ করে নাকি পাওয়া গেছে প্রাণীটি এসেছে রেটিকুলাম- নামক জ্যোতিষ্ক থেকেপ্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিনফুট শরীর রোমহীন কালো বড় বড় চোখ এবং শরীর কৃশকায়দেহ ব্যবচ্ছেদ করে নাকি ফুসফুস হৃৎপিন্ডর বদলে বিশাল এক পতঙ্গ পাওয়া গেছে
তবে এতসব বিতর্কই শেষ নয় এরিয়া৫১ নিয়ে চলমান বিতর্কের সবচেয়ে বড়টি হল মানুষের চাদে যাওয়া নিয়ে নাটক
মানুষত চাদে গিয়েছে নিয়ে নাটকের কি আছে? আপনারা হয়ত তা বলবেন
কিন্তু দুনিয়াতে প্রচুর সন্দেহবাদী আছে(আমি নিজেও সেই তালিকায়পুরা ব্যাপারটা আমার কাছে ধাপ্পাবাজি মনে হয়) যাদের ধারনা মানুষ চাদে কখন্ও যায়নি পুরো নাটকটি সাজানো হযেছে এই এরিয়া৫১ এর ভিতরমজার ব্যাপার হচ্ছে এত বিতর্ক চললেও আমেরিকান সরকার এসব কোনোকিছুই স্বীকার করেনি আজপর্যন্ততাতে সন্দেহ না কমে বরং আরো বেড়েছে

No comments:

Post a Comment